ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

থামছে না কেমিক্যাল দিয়ে আম পাকানো

image_155958_0নাটোর প্রতিনিধি :::

নাটোর: নাটোরে প্রশাসনের নজরদারির পরও বাগাতিপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিকারক কার্বাইড দিয়ে আম পাকানো থামছে না। এক দিকে চলছে প্রশাসনের মাইকিংসহ নানা প্রচারণা, অন্যদিকে অধিক মুনাফার লোভে কাঁচা আমই কার্বাইড দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।

অপরিপক্ক আম কার্বাইড দিয়ে পাকানোর দায়ে আরো এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার সকালে আমে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষ থেকে পথসভা ও মাইকিং করা হয়। এ ছাড়া আম পাকানো বন্ধে প্রশাসনের কড়া নজরদারিও রয়েছে বলে জানা গেছে।

সকালে উপজেলার বৃহত্তম আমের বাজার তমালতলায় আড়ৎ মালিকদের উপস্থিতিতে এক পথসভার মাধ্যেমে কখন কোন আম পাড়তে হবে তা অবহিত করা হয়। এই আইন অমান্যকারী উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার ফরহাদ আহমদ।

তিনি জানান, সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে গোপালভোগ ২০ মে, রানী পছন্দ, নাক ফজলী, ক্ষিরসাপাত, লকনা ১ জুন, তোতাপুরী ও ল্যাংড়া ১৫ জুন, আম্রপালি, ফজলী, মল্লিকা ২১ জুন, আশ্বিনা ২১ জুলাই থেকে সংগ্রহ করতে হবে।

এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার বাবুলু কুমার সূত্রধর, ক্যাব’র আহ্বায়ক এম. আব্দুল মজিদ ছাড়াও ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া উপজেলায় বিভিন্ন বাজার ও এলাকাতে মাইকিং ও পথসভার মাধ্যমে সচেতনতা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এতো কিছুর পরও থেমে নেই অসাধু মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা। তারা অধিক মুনাফা লাভের আশায় অপরিপক্ক আম গাছ থেকে পেড়ে পাকানোর জন্য ক্ষতিকারক কার্বাইড ও রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করছেন।

অনেকেই আমের ফলন বৃদ্ধি করার জন্য গাছে ‘কালটার’ নামক ক্ষতিকারক পদার্থও ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যা মানবদেহে জটিল ও কঠিন রোগ সৃষ্টি করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। এ সমস্ত অপরাধ থেকে আম ব্যবসায়ী ও উৎপাদনকারীদের সচেতনতার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা রকম পদক্ষেপ।

এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার উপজেলার বাগাতিপাড়া ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন বিহাড়কোলের রফিকুল ইসলামের লিজ দেয়া আমবাগানে বাঘা উপজেলার বাউসা গ্রামের মৃত নঈম উদ্দিনের ছেলে আম ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিনকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ অপরিপক্ক আম পেড়ে নিষিদ্ধ কেমিক্যাল মেশানোর অপরাধে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

এর আগে গত ১২ মে আব্দুল মতিন ও মিঠু নামে দুই আমব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
 

পাঠকের মতামত: